শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে পড়ুক ঝরে তোমারি সুরটি আমার মুখের 'পরে বুকের 'পরে। পুরবের আলোর সাথে পড়ুক প্রাতে দুই নয়ানে- নিশীথের অন্ধকারে গভীর ধারে পড়ুক প্রাণে, নিশিদিন এই জীবনের সুখের 'পরে দুঃখের 'পরে শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে পড়ুক ঝরে। যে শাখায় ফুল ফোটে না ফল ধরে না একেবারে তোমার ওই বাদল-বায়ে দিক জাগায়ে সেই শাখারে। যা-কিছু জীর্ণ আমার দীর্ণ আমার জীবনহারা তাহারি স্তরে স্তরে পড়ুক ঝরে সুরের ধারা। নিশিদিন এই জীবনের তৃষার 'পরে ভুখের 'পরে শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে পড়ুক ঝরে।
উজ্জ্বলে ভয় তার, ভয় মিট্মিটেতে, ঝালে তার যত ভয় তত ভয় মিঠেতে। ভয় তার পশ্চিমে, ভয় তার পূর্বে, যে দিকে তাকায় ভয় সাথে সাথে ঘুরবে। ভয় তার আপনার বাড়িটার ইঁটেতে, ভয় তার অকারণে অপরের ভিটেতে। ভয় তার বাহিরেতে, ভয় তার অন্তরে, ভয় তার ভূত-প্রেতে, ভয় তার মন্তরে। দিনের আলোতে ভয় সামনের দিঠেতে, রাতের আঁধারে ভয় আপনারি পিঠেতে।